রিপোর্টার: সাইফুল ইসলাম।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে ফের তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানী জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দেয়ায় মঙ্গলবার তুরস্ককে হুঁশিয়ারি দিয়ে গ্রীস ও সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েছে জার্মানি।
গ্রীস ও সাইপ্রাস সফরের আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন: গ্রীসের দ্বীপের কাছে তুরস্কের তেলের তালাশ বন্ধ করতে হবে। তুরস্ক যেনো তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বিতর্কে উসকানি না দেয়। তুরস্ক সরকার বারবার বলছে, তারা আলোচনা চায়। তাহলে, তারা উসকানি দেয়া বন্ধ করুক। আমরা তুরস্কের কাছে আবেদন জানাচ্ছি – তারা যেনো একতরফা ব্যবস্থা নিয়ে গ্রীসের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ না করে। জার্মানি পুরোপুরি গ্রীস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে আছে; তুরস্কের সঙ্গে নয়। আমি এ বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই সাইপ্রাস ও গ্রীস যাচ্ছি। জার্মানি মনে করে, আলোচনার পরিস্থিতি তৈরির দায় তুরস্কের। তুরস্ক যেনো এমন কোনো কাজ না করে যাতে দু দেশের মাঝে উত্তেজনা বাড়ে। সেক্ষেত্রে ইইউর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরো খারাপ হবে।
সেদিনই জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তুরস্ক যে আবার অনুসন্ধানী জাহাজ পাঠিয়েছে, তা খুবই অবিবেচক সিদ্ধান্ত। উত্তেজনা কমানোর যে চেষ্টা চলছে, তা এর ফলে ধাক্কা খাবে।
এদিকে, তুরস্ক সোমবারই আবার তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানী জাহাজ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর এ নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ক্ষুব্ধ গ্রীস বলেছে, তুরস্ক পরিকল্পনামাফিক এ এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। তুরস্ক যেনো অবিলম্বে জাহাজ নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নেয়। কেননা, তারা বেআইনি কাজ করছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, তুরস্ক আলোচনা চালাতে ইচ্ছুক নয়।
কিন্তু এসব হুমকি-ধমকিকে পাত্তা না দিয়ে তুর্কি জ্বালানী শক্তিমন্ত্রী বলেছেন: আমরা অনুসন্ধানের কাজ করবো। আমাদের অধিকার রক্ষার জন্যেই এ কাজ করতে হবে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
