বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, শুক্রবার বিকেলে করাচির জিন্নাহ্ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকার বসত বাড়ির উপর বিমান টি বিধ্বস্ত হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার (পিআইএ) এ–৩২০ এয়ারবাসটি ৯১ জন যাত্রী ও ৮ জন ক্রু নিয়ে লাহোর থেকে করাচি যাচ্ছিল। জিন্নাহ্ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির জেরে দু’মাস বন্ধ থাকার পরে গত শনিবার থেকে কিছু অন্তর্দেশীয় যাত্রী-বিমান চালু হয়েছিল পাকিস্তানে। সপ্তাহ না যেতেই এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়, এই ৯৯ জনের মধ্যে মাত্র দু’জন বিমানযাত্রী প্রাণে বেঁচেছেন বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছেন,
পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার এই ‘পিকে-৮৩০৩’ উড়ানে ছিলেন সে দেশের ব্যাঙ্ক অব পঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট জ়াফর মাসুদ এবং বর্ষীয়ান টিভি সাংবাদিক আনসার নকভি। মাসুদ বেঁচে গেলেও নকভির খবর নেই। পাক বিমান মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সাত্তার খোকর আবার বলেন, ৯৯ জন যাত্রী ও ৮ বিমানকর্মী ছিলেন বিমানে। তবে ৯১ জন যাত্রীর নামই সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বিমানের ডানায় আগুন জ্বলছিল। বিমানটি ভেঙে পড়ার আগে কয়েকটি বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ে ডানা। তবে পিআইএ বলেছে, কোথায় গোলযোগ, তা এখনই বোঝা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গভীর শোক দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তিনি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ জানতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।