কি ভাবে বিবাহ ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়?

0

আওয়ার টাইমস্ নিউজ।
প্রত্যেক মুমিনের জন্য বিবাহ একটি ইবাদত। প্রত্যেক ইবাদত শরীয়তের নির্ধারিত সীমার ভিতরে থেকে সম্পাদন করলেই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের নিকট ইবাদত গ্রহণযোগ হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত।

১.ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে করা। কারণ বলা হয় যে, “মানুষের নিয়ত ইবাদতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ”। নিয়ত সঠিক ও বিশুদ্ধ হলে ছোটখাটো নেকের কাজ করেও ছাওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু নিয়ত সঠিক না হলে বড় কাজ করে ও ছাওয়াবের আশা করা যায় না।

২. সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিতে করা। কারণ রাসূল সা. এর সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ ছাড়া মানব জীবনে সফলতা আসবে না। মনগড়া পদ্ধতিতে ইবাদত করলে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে তা গ্রহনযোগ্য হবে না। তাই ইবাদত সম্পাদনের ক্ষেত্রে যাবতীয় কুসংস্কার -কুপ্রথা বর্জন করতেই হবে।

আমাদের সমাজে এমন বিয়ে খুব নগন্য যাতে বোম ও পটকা ফাটানো, আতশবাজি করা হয়না। অথচ এগুলো শরীয়ত পরিপন্থী ও গোনাহর কাজ।

এ গোনাহের কাজ কয়েকটি কারণে হয়।
১. অর্থের অপচয়। আল্লাহ তায়ালা অর্থের অপচয় করতে পবিত্র কুরআনে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন, “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই”।
[সুরা বনী ঈসরাইল. ২৭]

২.হাত- পা পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ঘরে আগুন লাগার ভয় থাকে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজের জীবন ও সম্পদকে হুমকির মুখে ফেলতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন,
“তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা”।
[সুরা বাকারা. ১৯৫]

৩. অধিকাংশ সময় লেখাবিশিষ্ট কাগজ আতশবাজির জন্য ব্যবহৃত হয়। অক্ষর সম্মানের বিষয়। তা এমন কাজে ব্যবহার করা নিষেধ। বেহেশতী জেওর.৬.৩২৬।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে এই কথাগুলোর উপর পরিপূর্ণ আমল করার তাওফীক দান করুন,আমীন। (লেখক: মুফতী আব্দুল্লাহ ইদরীস)

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে