
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: বাংলাদেশি রান্নায় কিশমিশ পরিচিত একটি উপাদান। পায়েস, সুজি কিংবা পোলাও, সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। তবে এখন শুধু রান্নায় নয়, স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করা এবং খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। সেই সাথে বাজারে সোনালি ও কালো, দুই ধরনের কিশমিশই সমানভাবে পাওয়া যায়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, সব কিশমিশ সমান উপকারী নয়। কোনটি খাবেন আর কোনটি এড়িয়ে চলবেন, তা জানা জরুরি।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের পুষ্টিবিদ শ্বেতা জে পঞ্চাল দুই ধরনের কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে, কিশমিশ খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সোনালি কিশমিশ
দেখতে আকর্ষণীয় হলেও সোনালি কিশমিশের রং প্রাকৃতিক নয়। এগুলোকে টিকিয়ে রাখতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয় সালফার ডাই-অক্সাইড নামক রাসায়নিক।
এই রাসায়িকের সম্ভাব্য ক্ষতি;
হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে
অ্যাজমা বা শ্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
নিয়মিত খেলে লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে
হরমোনের ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটাতে পারে
অন্ত্রে অস্বস্তি ও পেটফাঁপার সম্ভাবনা থাকে
তবে সোনালি কিশমিশে পটাসিয়াম থাকায় শক্তি বাড়াতে কিছু ভূমিকা রাখে।
কালো কিশমিশ;
কালো কিশমিশ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে রোদে শুকিয়ে তৈরি হয়, এতে কোনও রাসায়নিক যোগ করা হয় না। ফলে যারা স্বাস্থ্যগতভাবে সংবেদনশীল, তাদের জন্য এটি তুলনামূলক নিরাপদ।
কালো কিশমিশের উপকারিতা;
১. এতে রয়েছে আয়রন ও বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন, যা রক্তাল্পতা দূর করতে সহায়ক।
২. পলিফেনল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে কার্যকর।
৩. প্রি-বায়োটিক ফাইবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জোগায়, ফলে হজমশক্তি বাড়ে।
৪. ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিসিস্টিক ওভারি সমস্যা, পিএমএস, কম হিমোগ্লোবিন, এমন সমস্যায় ভুগলে কালো কিশমিশ হতে পারে নিরাপদ ও উপকারী বিকল্প।



























