Our Times News
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে আটকা পড়া কাতার প্রবাসীরা মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর ) মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে আসা মানিক মিয়া নামের এক কাতার প্রবাসী গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের আগে কাতার থেকে যারা বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছিলেন, লকডাউনের কারণে তাদের সকলের প্রেসিডেন্টস বাতিল হয়ে যায়। মানিক মিয়া আরো বলেন কাতারের সিস্টেম হচ্ছে ওই দেশে প্রবেশ করার পর ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করতে হবে, না হয় নবায়ন করা যাবে না। এবং বাংলাদেশ থেকে ওখানে যাওয়ার পর প্রবাসীরা নিজ খরচে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। এরপর আবার এন্ট্রি ফরমেটও দিবে ওই দেশের স্পন্সাররা, কিন্তু তাদের সাথে এ বিষয়ে প্রবাসীদের কোনো যোগাযোগও নাই। মানববন্ধনে আশা কাতার প্রবাসীদের মধ্যে অনেকই খুব আক্ষেপের সাথে বলেছেন যে, ভারত, নেপাল, ও ভুটানের অনেক প্রবাসী কর্মীরা এই লকডাউন আটকা পড়েছিল, কিন্তু তাদের দেশের সরকার কাতার সরকারের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে সহজেই কাতারের ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের এই সমস্যার সমাধান না হওয়া জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
এদিকে মানববন্ধনে আসা কাতার প্রবাসীরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, সৌদি প্রবাসীদের কে যেভাবে সৌদিতে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সরকার, ঠিক সেভাবেই কাতার প্রবাসীদেরও তাদের কর্মস্থল কাতারে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
মানববন্ধনে আসা কাতার প্রবাসীরা বলেছেন, করোনার কারণে দেশে প্রায় ১২ হাজারের মতো কাতার প্রবাসী আটকা পড়েছে। গত ১০ মাস ধরে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আবার এর মধ্যে বেশিরভাগ কর্মীদেরই ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা আরো বলেন গত ৪ মাস ধরে তারা এন্ট্রি পারমিটের আবেদন করেছেন, কিন্তু তাদের এ আবেদন গ্রহণ করছে না কাতার সরকার। এর ফলে তাদের চাকরি চলে যাওয়ার অবস্থাও তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় তারা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদেরকে কাতার পাঠানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে, এবং তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও কামনা করছেন।