
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপিন্সে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ‘ফুং-ওং’। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় এখন পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের আগেই কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পাগাসা জানিয়েছে, রবিবার টাইফুনটি দেশটির সবচেয়ে জনবহুল লুজন দ্বীপের উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করেছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার, আর ঝোড়ো হাওয়া বইছিল ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির তাণ্ডবে ২২৪ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশটি আবারও টাইফুনের আঘাতে বিপর্যস্ত হলো।
লুজন দ্বীপের ইসাবেলা প্রদেশে এক বাস্কেটবল কোর্টে আশ্রয় নেওয়া ক্রিস্টোফার নামের এক ব্যক্তি বলেন,
আমরা শুনেছিলাম এই ঝড়টা খুব শক্তিশালী হবে, তাই আগেই পরিবার নিয়ে আশ্রয়ে চলে আসি।”
তিনি জানান, আগের বন্যার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা ঘর ছাড়ার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাদে তুলে রেখেছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে এখন শত শত মানুষ, তাঁবু ও প্লাস্টিক চেয়ারে বসে থাকা বয়স্কদের পাশে দৌড়ঝাঁপ করছে শিশুেরা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন এবং আরেকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। তবে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রমের পর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে, পোপ লিও ফিলিপিন্সের জনগণের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন,
এই ভয়াবহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিপিন্সবাসীর জন্য আমি প্রার্থনা করছি—নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহত ও বাস্তুচ্যুতদের নিরাপত্তার জন্য।”
লুজন দ্বীপের অরোরা প্রদেশে টাইফুনের আঘাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল ছিল। এদিকে রাজধানী ম্যানিলা ও দক্ষিণের বিকোল এয়ারপোর্টসহ কয়েকটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সুপার টাইফুন ফুং-ওং সোমবার সকালে ফিলিপিন্সের উত্তর উপকূল পেরিয়ে সমুদ্রে প্রবেশ করবে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পশ্চিম তাইওয়ানে পৌঁছাতে পারে।






























