আওয়ার টাইমস্ নিউজ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার সকালের দিকে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী সালাউদ্দিন কামরুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তারই ভাইনিজাম উদ্দীন মুন্না।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকার ইউসেফ স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন আলম নামের একজন যুবক নিহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২২৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এর মধ্যে ৩৯ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ১৬৯ জন। বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ৫৭ জন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ। এসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৭৭৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে ডা. শাহাদাত হোসেন, আম প্রতীকে আবুল মনজুর, মোমবাতি এম এ মতিন, হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং হাতপাখা প্রতীকে মোসা জান্নাতুল ইসলাম।