
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পেশাল নিউজ করেসপন্ডেন্ট: আজ, ১৯ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদ ভবনের সবুজ মাঠে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে, জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানি, বাংলার মহাবীর যোদ্ধা শহীদ উসমান শরীফ হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ইতিহাস সৃষ্টি করা বাংলার এই বীর শহীদ যোদ্ধার শেষ বিদায়ের দিনেই দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এক নীরব, তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের চলমান অস্থির বাস্তবতা,দীর্ঘদিনের ইনসাফহীনতা ও জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথ কাঁপাতে, এক নতুন শক্তিশালী সংগঠনের আবির্ভাব হতে যাচ্ছে..‘জাতীয় বিপ্লবী মঞ্চ’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শহীদ উসমান শরীফ হাদির হৃদয়ে আল্লাহর ঈমানী শক্তি, সাহসী অবস্থান ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন চেতনা থেকেই এই সংগঠনের ভাবনা ও নাম আজই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে আপাতত কে বা কারা এর নেতৃত্বে থাকছেন, তা পুরোপুরি গোপন রাখা হয়েছে। উদ্যোক্তারা একে বলছেন, “রহস্যময় অপেক্ষামান প্রস্তুতি।” নীরব প্রস্তুতি, কিন্তু বার্তা স্পষ্ট। সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘জাতীয় বিপ্লবী মঞ্চ’ কোনো হঠাৎ আবেগের ফসল নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যার মূল লক্ষ্য দেশে ইনসাফ কায়েম করা, জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং মানুষের হারিয়ে যাওয়া আস্থাকে পুনরুদ্ধার করা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনটির নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন, আপাতত এই সংগঠনটি একটি আদর্শিক ও গণভিত্তিক সংগঠন হিসেবেই কাজ করবে। তবে দেশের বাস্তবতা, জনগণের প্রত্যাশা এবং সময়ের প্রয়োজনে, জাতীয় অঙ্গনেও এর কার্যকর ভূমিকা থাকতে পারে।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হলো, সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে পারে শাহবাগের শহীদ উসমান হাদী চত্বর থেকেই। কবে, কখন, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হয়নি। উদ্যোক্তারা বিশেষ কিছু কৌশলগত কারণে সময়সূচি গোপন রাখছেন। তাদের মতে, “সময় ঘোষণা করার চেয়ে প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ। যখন সময় আসবে, তখন দেশবাসী নিজের চোখেই দেখবে।”
সংগঠনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার আলো।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শহীদ উসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে যে আবেগ, ঐক্য ও গণমানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে, তা সাম্প্রতিক অঙ্গনে বিরল। সেই আবেগ থেকেই যদি একটি সুসংগঠিত, নৈতিক ও গণমুখী শক্তির উত্থান ঘটে, তবে তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বড় একটি শক্তিতে রূপ নিতে পারে।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, “যে সংগঠন শহীদের চেতনা থেকে জন্ম নেয়, তারা চাইলে ক্ষমতার বাইরে থেকেও দিক পরিবর্তন করতে পারে।”
অপেক্ষা এখন দেশের মানুষের। সব মিলিয়ে, ‘জাতীয় বিপ্লবী মঞ্চ’ এখনো প্রকাশ্যে আসেনি, নেতৃত্ব ঘোষণা হয়নি, কর্মসূচিও জানানো হয়নি। তবে বার্তাটি স্পষ্ট, দেশের রাজনীতি ও সমাজে একটি নতুন অধ্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। শহীদ উসমান হাদির শেষ বিদায়ের দিনে সেই অধ্যায়ের নাম উচ্চারিত হলো। তবে সংগঠনটি বিশেষ সূত্র জানিয়ে, তারা শহীদ ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব মঞ্চকে অনুসরণ করে তাদের সাথে জোট বদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
তবে কি বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে শহীদ উসমান হাদী প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব মঞ্চের মতো আরো একটি নির্ভীক, শক্তিশালী সংগঠন? সময়ই তার জবাব বলে দেবে।



























