Our Times News
এমন একটা রাত যেনো ফুরোয় না। এই বুঝি মেসি বার্সা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কিংবা বার্সালোনাকে মেসির দেয়া চিঠির উত্তরে আনুষ্ঠানিক ভাবে কি জাবাব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উদ্বিগ্ন আর শূন্যতায় ভক্তদের মুহূর্তগুলো যেনো রং পাল্টায়। পাড় ভক্তরা এর মাঝে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন ন্যু ক্যম্পের বাইরে। মেসিকে যে রাখতেই হবে কাতালান দূর্গে। সে খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের র্নিঘুম রাত।
বার্সা মেসিকে বড় অংকের অর্থে বিক্রি করতে চাইলেও, মেসি চাচ্ছেন ফ্রি ট্রান্সফার। এই সমস্যা প্রকট হলে দুই পক্ষের সমাধানে যেতে হতে পারে আদালতে। মেসির এত বড় সিদ্ধান্ত থেকে সহসাই সরে আসা হচ্ছে না, সমর্থকরা বুঝে গেছেন। কোথায় যাচ্ছেন মেসি? বাতাসে জোর গুঞ্জন, মেসি যাচ্ছেন পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিতে নাহলে পিএসজিতে। বায়ার্নের সঙ্গে হারার ১১ দিনের মাথায় মেসি বার্সা ছাড়ার সংবাদটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকরা।
এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থ কার্লোস পুয়েল। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘লিও, তোমার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান। সব সময়ই সমর্থন থাকবে, বন্ধু!’ পুয়োলের টুইটের উত্তরে হাততালির ইমোজি দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, যাকে আজই ফোন করে বার্সা থেকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন নতুন কোচ রোনাল্ড।
ওদিকে ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা সাবেক স্ট্রাইকার ও বিশ্লেষক গ্যারি লিনেকার টুইট করেছেন, মেসি যদি ক্লাব ছাড়তে চায়, তাকে বার্সার সহায়তা করা উচিত। ক্লাব এবং ফুটবলারের মধ্যে এতোদিনের সম্পর্ক যদি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে শেষ হয়, সেটা হবে খুবই হতাশার। মেসি বার্সা ছাড়ছেন সেই শঙ্কাকে আরো জোরালো করে কাতালুনিয়ার প্রেসিডেন্ট কুইম তোরার এমন বিদায়ী টুইট।