
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন রাজধানীর একটি হাসপাতালের সিসিইউতে। তার এই সংকটময় মুহূর্তে দেশ-বিদেশের নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করছেন তারেক রহমানের দ্রুত দেশে ফেরার খবরে। কিন্তু তিনি কবে ফিরবেন, এ প্রশ্নে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন।
রিজভী বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যখন উপযুক্ত সময় মনে করবেন, তখনই দেশে ফিরবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।” তিনি জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরা একটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয় এবং এটি শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়; বহু জটিল প্রেক্ষাপটও জড়িত।
এদিকে তারেক রহমান শনিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছিলেন,
“মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হলেও, দেশে ফেরা আমার একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়।”
এই পোস্টের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা।
অন্যদিকে, রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সাম্প্রতিক আপডেটও দেন। তিনি বলেন, “মেডিকেল বোর্ড এখনো বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। হাসপাতাল এলাকায় অপ্রয়োজনে ভিড় না করার অনুরোধ করছি।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, কিডনি ও লিভারের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবেটিস, সব মিলিয়ে চিকিৎসা জটিল হয়ে উঠেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহযোগিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।



























