
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রহস্যময় বিশ্ব: ব্রাজিলের রন্ডোনিয়া রাজ্যের আমাজন বনে এক রহস্যময় পুরুষের জীবন বিশ্ববাসীর কৌতূহল জাগিয়েছে। তিনি ছিলেন টানারু আদিবাসী এলাকার একমাত্র বাসিন্দা, যিনি সম্পূর্ণ একাকী জীবনযাপন করতেন। স্থানীয়রা তাঁকে “ম্যান অফ দ্য হোল” বা “ইন্ডিও ডো বুরাকো” নামে চিনতেন, কারণ তিনি তার প্রতিটি আশ্রয়ে গভীর গর্ত খুঁড়ে রাখতেন।
১৯৯৬ সালে ব্রাজিলের আদিবাসী বিষয়ক সংস্থা ফুনাই প্রথম তাঁর অস্তিত্ব শনাক্ত করে। একাকী জীবনযাপনকারী এই পুরুষ শিকার, ফলমূল সংগ্রহ এবং মধু আহরণের মাধ্যমে জীবনধারণ করতেন। তাঁর খোঁড়া গর্তগুলো প্রাথমিকভাবে শিকারের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হত বলে ধারণা করা হয়, তবে গবেষকরা মনে করেন এতে আধ্যাত্মিক বা সাংস্কৃতিক গুরুত্বও থাকতে পারে।
১৯৭০-১৯৯০-এর দশকে ব্রাজিলীয় বসতি স্থাপনকারীরা এই অঞ্চলে প্রবেশ করে স্থানীয়দের হত্যা করেছিল। এই পুরুষটি সেই সংঘাত থেকে বেঁচে যান এবং দীর্ঘদিন একাকী জীবনযাপন করেন। ২০০৯ সালে তাঁকে বন্দুকধারীদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে হয়, যা তাঁর জীবনের একমাত্র পরিচিত আক্রমণ হিসেবে রেকর্ডে আছে।
২০২২ সালের আগস্টে ফুনাই এর এক কর্মকর্তা টানারু আদিবাসী এলাকার একটি কুটিরে তাঁকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান। মৃতদেহটি ম্যাকাও পাখির পাল দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল, যা স্থানীয়দের মতে মৃত্যুর প্রস্তুতির প্রতীক। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ প্রাকৃতিক বলে ধারণা করা হয়েছে।
তাঁর একাকী জীবন, খোঁড়া গর্ত এবং বহিরাগতদের প্রতি অবিশ্বাস আজও রহস্যময়তা ধরে রেখেছে। এই গল্প বিশ্ববাসীর মনে প্রশ্ন জাগায় যে কতটা অজানা এবং রহস্যময় জীবন আজও পৃথিবীর অন্তরালে চলছে।
সূত্র:The Guardian




























