
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইরানে সাম্প্রতিক বিমান হামলায় নিহত বলে ধারণা করা বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী আসলে জীবিত আছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু করা শতাধিক বিজ্ঞানীর মধ্যে অন্তত ১৫ জন তেহরানের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে তারা নিজেদের বাসভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন।
সিনিয়র এক ইরানি কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিজ্ঞানীদের পরিবারসহ তেহরানের নিরাপদ ভিলা এবং দেশের উত্তর উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তেহরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পারমাণবিক কর্মসূচিতে যুক্ত ব্যক্তিদের পরিবর্তে এখন নিয়োগ পাচ্ছেন এমন ব্যক্তিরা, যাদের ওই কর্মসূচির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের মতে, নিহতদের স্থলাভিষিক্ত নতুন গবেষকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতিকে তারা ‘মারা যাওয়া মানুষের হাঁটাহাঁটি’র সঙ্গে তুলনা করছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরান এখনো পারমাণবিক কর্মসূচির পরিদর্শন মেনে নেয়নি বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বন্ধ করেনি। তার মতে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পর ইরানের কর্মসূচি স্থায়ীভাবে পিছিয়ে গেছে, তবে তারা হয়তো অন্য কোথাও থেকে পুনরায় শুরু করতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএসবিএস নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বি-২ বোমারু বিমান ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। প্রতিটি বিমানে ছিল দুটি করে ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা (GBU-57 Massive Ordnance Penetrators), যা পর্বতের নিচে গভীরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম। এছাড়া, নাটানজ ও ইসফাহানের আরও দুটি পারমাণবিক স্থাপনাতেও যুক্তরাষ্ট্র টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, এসব হামলার পর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়নি। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা হামলার সত্যতা স্বীকার করলেও বলেছে, এতে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম থামবে না।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে। তবে তেহরান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, হামলার সম্ভাবনা তারা আগে থেকেই অনুমান করেছিল এবং কর্মীরা আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, সিএসবিএস নিউজ, IAEA




























