
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানকে ঘিরে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বড় ধরণের গলদ ধরা পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক যাচাইয়ে দেখা গেছে, দলের গঠনতন্ত্রে স্পষ্টতা নেই, প্রার্থী মনোনয়ন পদ্ধতি ঠিক নেই, এমনকি দলের তহবিলের পরিমাণ ও উৎস-এর তথ্যও পূর্ণাঙ্গভাবে জমা দেওয়া হয়নি।
ইসি জানিয়েছে, এনসিপির ২৫টি উপজেলা কমিটিতে ন্যূনতম ২০০ জন ভোটার সমর্থকের প্রমাণ নেই, কোথাও কোথাও একই ব্যক্তিকে একাধিকবার ভোটার সমর্থক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ঢাকা ও সিলেটের জেলা দপ্তরের ভাড়া চুক্তিপত্রে দলের নাম নেই, কিশোরগঞ্জের ইটনা ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের উপজেলা কার্যালয়ের চুক্তিপত্রেও ঠিকানা ও নাম নেই।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এসব ত্রুটি সংশোধন করে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে নতুনভাবে উপযুক্ত দলিল জমা দিতে হবে।
এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের অনুলিপিতে স্বাক্ষর নেই, দলের গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ড কীভাবে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে— সে বিধান নেই, এবং কোলাবোরেটর অর্ডার ১৯৭২ বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭২-এর অধীনে দণ্ডিত কেউ দলে নেই— এ মর্মে প্রত্যয়নপত্রও সংযুক্ত করা হয়নি।
ইসির আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে হলে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি, এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ জন ভোটারের সমর্থন থাকতে হয়।
ইসির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন, তারা ইসির চিঠি পেয়েছেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঘাটতি পূরণ করে নতুন দলিল জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বর্তমানে ৫১টি দল নিবন্ধিত আছে। ২০০৮ সালে চালু হওয়া এ ব্যবস্থায় শর্ত পূরণ না হওয়ায় ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, পিডিপি, জাগপাসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছিল। আদালতের আদেশে জামায়াত ও জাগপা পুনরায় নিবন্ধন পেলেও এখন পর্যন্ত শুধু জামায়াতের প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে ইসি।





























