
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: বিচারের মুখোমুখি করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। এতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ‘গণহত্যা’ মামলায় অভিযুক্ত হাসিনাকে ভারতীয় সুরক্ষা ও আশ্রয় দেওয়ার সমালোচনা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় এই চিঠি হস্তান্তর করা হয়। জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান এতে স্বাক্ষর করেন। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দূতাবাসে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার এবং যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু।
দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কেউ সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও চিঠিটি গ্রহণ করেন ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তালাত মাহমুদ শাহান শাহ।
চিঠিতে ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলা হয়—১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের বিপুল সম্পদ লুট করে এবং শুরু থেকেই বাংলাদেশকে করদ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। এছাড়া ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলা হয়।
এতে আরও বলা হয়-ভারত অবৈধভাবে বাংলাদেশের কিছু ভূমি দখল করে রেখেছে, ট্রানজিট ও করিডরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা ব্যবহার করেছে এবং ‘র’ ও ভারতীয় সেনা বাহিনী প্রশাসনে অননুমোদিত হস্তক্ষেপ করেছে। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রতিবেশী সম্পর্কের পরিপন্থী ও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করা হয়।
চিঠিতে মোদি সরকারের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছে এবং সীমান্তে পুশ-ইন ও বাংলাদেশিদের হত্যা নিয়মিত ঘটিয়েছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে শেখ হাসিনাকে ভারতীয় সুরক্ষা দেওয়ার পদক্ষেপকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করে জাগপা।
শেষ অংশে বলা হয়-বাংলাদেশের জনগণ দেশে বসেই হাসিনার বিচার চায়। তাই ভারত সরকার যেন দ্রুত তাকে ও তার সহযোগীদের ফেরত পাঠায়। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।




























