
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলার কারণে নতুন করে কমপক্ষে ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। একই সঙ্গে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দক্ষিণের দিকে পালানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু চলাচলের পথে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার মুখে পড়ছেন।
স্থানীয় সূত্র এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আবাসিক ভবন, স্কুল এবং সাধারণ অবকাঠামো নিয়মিতভাবে ধসে পড়ছে। নিরাপদ আশ্রয়ের পথে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং ট্যাংকের মাধ্যমে হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শহরের বাকি বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন যে, যারা গাজা সিটিতে থাকবেন, তাদের “সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই নির্দেশনার কারণে গাজার মানুষরা আতঙ্কের মধ্যে নিরাপত্তা ছাড়াই শহর ত্যাগ করছেন।
চলমান সংকটের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমও কঠিন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে জানাচ্ছে যে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে অসহায় মানুষদের প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলা ও একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ঘটনায় মানবিক সংকট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। শুধু চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গাজার বাসিন্দাদের নির্বিচারে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া মানে মানবিক আইন লঙ্ঘন এবং পরিকল্পিত গণহত্যার আশঙ্কা।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো দ্রুত এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য চাপ বৃদ্ধি করছে।
সূত্র: আল-জাজিরা



























