
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের খবরে গাজায় আনন্দের জোয়ার বইছে। কিন্তু আনন্দের মধ্যেই ইসরাইল আবারও গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে, ফলে শান্তির স্বপ্ন ধীরে ধীরে চাপের মুখে পড়েছে।
আনন্দের মুহূর্ত
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা প্রকাশের পর গাজার বিভিন্ন শহরে আনন্দ মিছিল বের হয়। খান ইউনিসের কিশোররা বাঁশি, খঞ্জনি ও ড্রাম বাজিয়ে নেচে গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। কেউ চিৎকার করে বলছিল “আল্লাহু আকবর।” ইমান আল কৌকা নামের এক তরুণী জানান, “আজ আমাদের আনন্দের দিন, আবার যুদ্ধে আমরা যাদের হারিয়েছি, তা স্মরণ করে কাঁদব।”
দুঃখের ছায়া
তবে আনন্দের মধ্যেও দুঃখের ছায়া রয়েছে। আহমেদ দাহমান নামের এক ব্যক্তি জানান, ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন, এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মরদেহ রেখে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, “যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে। আমরা যখন ফিরব, দেখব কিছুই অবশিষ্ট নেই।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে “বিশ্বের জন্য একটি মহান দিন” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই চুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ।” মিসর, কাতার ও তুরস্ক এই চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতা করেছে।
হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছে এবং ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন চুক্তির শর্তাবলী পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হয়।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পরও গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। মানবিক সহায়তা পৌঁছানো, ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনর্গঠন এবং শান্তি বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
সূত্র: Reuters





























