
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্বাস্থ্য: ডিম পুষ্টিকর খাদ্যের তালিকায় শীর্ষে থাকা একটি পরিচিত নাম। সহজলভ্য, সুলভ এবং উচ্চমানের প্রোটিনের অন্যতম উৎস হিসেবে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে ডিমের কুসুম হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, এ ধরনের ধারণা বহুদিন ধরে প্রচলিত। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা।
সম্প্রতি একাধিক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে, ডিম হৃদ্রোগের কারণ নয়, বরং সঠিক পরিমাণে ডিম গ্রহণ হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি মাঝারি ডিমে থাকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, যার গুরুত্বপূর্ণ অংশই পাওয়া যায় কুসুম থেকে। ডিমের হলুদ অংশে বিদ্যমান কলিন নামের উপাদান মস্তিষ্ক ও লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া এতে থাকে ভিটামিন–ডি, ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং চোখ রক্ষায় কার্যকর উপাদান।
চিকিৎসকদের ভাষ্য, ডিমের সাদা অংশ উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস হলেও এতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট কম। অপরদিকে কুসুম পেশি গঠন, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের কোষ সুরক্ষায় বিশেষভাবে সহায়ক।
দিনে কতটি ডিম খাওয়া নিরাপদ?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন ১–২টি ডিম কুসুমসহ খেতে পারেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদ্রোগজনিত সমস্যা আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর ডিমের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
জেনে রাখা জরুরি
ডিমে প্রাকৃতিক কোলেস্টেরল থাকলেও তা সরাসরি হৃদ্রোগের কারণ নয়
ভাজা ডিমের পরিবর্তে সেদ্ধ অথবা পোঁচ খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত
সুসম খাদ্যাভ্যাসের সাথে ডিম নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে
সঠিক তথ্য না জেনে খাবার থেকে বিরত থাকা যেমন ক্ষতিকর, তেমনি প্রয়োজনীয় পুষ্টির উৎস থেকে নিজেকে দূরে রাখাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। গবেষণা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ বলছে, ডিম একটি নিরাপদ ও সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাবার।




























