
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন। সোমবার আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আফ্রিদিকে সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে তোলা হয়। এর আগে, রোববার রাতে বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে সিআইডি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলার আসামি তিনি।
আদালতে তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম জানান, মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বাদীর অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ভিকটিম নিহত হয়েছেন। এখানে আসামির কোনো ভূমিকা নেই। গত বছরের ১১ নভেম্বর বাদী তথ্যগত ভুলের কারণে তার নাম যোগ করেছেন। মামলায় তাকে খালাস দিলে বাদীর কোনো বাধা নেই। তাই তাকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আইনজীবী আরও বলেন, আফ্রিদি কিডনির জটিলতায় ভুগছেন এবং তার চিকিৎসা চলমান। অতিরিক্ত হাঁটাচলায় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসে। এছাড়া তার স্ত্রী গর্ভবতী। মানবিক বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করা হোক।
বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন এবং ঢাকা বারের সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বাদীপক্ষ বলেন, আসামি মিডিয়া সন্ত্রাসী দাবি করে লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের ওপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড করতে উৎসাহিত করেছেন। রিমান্ডে নেওয়ার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, আফ্রিদি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের পক্ষে তার একাধিক পোস্ট আছে। আদালতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির বাবার ছবি দেখিয়ে জানানো হয়, তার আলাদা রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আফ্রিদির কিডনিতে জটিলতা থাকায় আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের কাছে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা চাওয়া হয়। এরপর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে আফ্রিদিকে পেটে হাত দিয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। হাজতখানার সামনে তার পা খালি এবং ভিড়ে জুতা খুইয়েছেন তিনি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আসাদুল হক বাবু আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনের দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোঁড়া গুলি তাকে আঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।




























