
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে অস্থিরতা ও সহিংসতা ছড়াতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক শীর্ষ সূত্রে জানা গেছে, পলাতক আওয়ামী ‘গডফাদার’ নেতাদের নির্দেশে নাশকতার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো ছদ্মবেশে মাঠে নেমে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, দলটির পলাতক সিনিয়র নেতারা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা যেন কোনোভাবে স্বাভাবিক না থাকে। এজন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুযোগ নিতে দলীয় কর্মীদের ইতিমধ্যে মাঠে নামানো হয়েছে। সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী আন্দোলন, সচিবালয়ে হামলা, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি ঘিরে গুজব ছড়ানো, সবই এই অপকৌশলের অংশ বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইজিপি বাহারুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন, “আওয়ামী অপশক্তির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। সচিবালয় ও দিয়াবাড়ির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার স্লোগানদাতা শাকিল মিয়া শাক্কুকে যাত্রাবাড়ী থেকে ধরা হয়েছে। কেউই ছাড় পাবে না।”
এদিকে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচিকে ঘিরে অরাজকতা ছড়াতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ জড়িত। ভিডিও দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে ধরা পড়েছে, বাকিদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা, সচিবালয়ের ভেতরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ—এসবই সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা। ঢাকার উত্তরা, গুলিস্তান, সচিবালয়, শ্যামপুরে একের পর এক নাশকতার চেষ্টা ধরা পড়ছে।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, “যারা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে রাজপথে ছিল, তাদের মধ্যকার বিভক্তি ও সরকারের ব্যর্থতা কাজে লাগাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।”
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে একাট্টা থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন ও দিল্লিতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একাংশ নানা গোপন তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
দেশকে অশান্ত করতে একের পর এক গুজব, নাশকতার পাঁয়তারা, সহিংসতা,সবই যে আওয়ামী চক্রের ছায়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।




























