
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে লাঠিপেটা করে জোরপূর্বক ৫ লাখ টাকার কাবিনে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বজলুর রহমান শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বজলুর রহমান এক নারীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন এবং পাশেই একজন পুরুষকে বেঁধে রাখা হয়েছে। নারীটি “বাবা বাবা” বলে চিৎকার করলেও কেউ থামায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার নারী এক প্রবাসীর স্ত্রী। তার সঙ্গে পাশের গ্রামের বিল্লাল মিয়ার সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে দুজনকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে বজলুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে নারীটিকে লাঠিপেটা করেন এবং পরদিন সালিশ বসিয়ে ওই নারীকে বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দেন।
বজলুর রহমান দাবি করেছেন, “ওই মহিলা আমার ভাতিজার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। তাই গ্রামের লোকজন তাদের ধরে ফেললে আমি কয়েকটি আঘাত করি।”
তবে স্থানীয়রা জানান, বিল্লাল নিজেই বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ও চারটি মেয়ে রয়েছে। অপরদিকে নির্যাতিত নারীও দুই সন্তানের জননী।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”





























