
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০১২ সালে ফিলিস্তিন জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। এই মর্যাদার মাধ্যমে তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারলেও প্রস্তাবনায় ভোট দেওয়ার অধিকার পায়নি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা, এই তিনটি দেশের সরকার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। এই তিন দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
ফ্রান্স জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সময় তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। যুক্তরাজ্য বলেছে, গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে তারাও একই পথে হাঁটবে। কানাডা অবশ্য শর্তসাপেক্ষে এই স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। তাদের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে মৌলিক সংস্কার আনতে হবে
হামাসকে বাদ দিয়ে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন
এবং ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি
বিশ্লেষকদের মতে, এসব পদক্ষেপ মূলত গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্ষোভেরই প্রতিফলন।
এর আগে ২০২৪ সালে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকিরা,চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স,ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিকে সমর্থন জানিয়েছে বা দিতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন একমাত্র দেশ, যারা এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিরোধিতা করছে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ চেয়ে দেওয়া প্রস্তাবটি মার্কিন ভেটোর কারণে পাস হয়নি।
Cgt




























