
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বগুড়ায় বনবিভাগের অনুমতি ছাড়াই সরকারি রাস্তার পাশে থাকা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই স্বেচ্ছাসেবক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, অনুমোদনের বাইরে আরও বনজ ও ঔষধি গাছও কেটে ফেলা হয়েছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের ন্যাংড়ার বাজার থেকে দরগাহাট রাস্তার দুই পাশে মোট ১৩৬টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার কার্যক্রম ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়। ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় টেন্ডারের মাধ্যমে প্রথমে ৪৩টি ইউক্যালিপটাস এবং ৯৩টি আকাশমণি গাছ বিক্রি করেন।
সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শিপন ও কর্মী আরমান আকন্দের নেতৃত্বে গাছ কাটা শুরু হয়। তারা জানায়, রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমোদিত গাছগুলো তারা কিনেছেন। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, কেবল অনুমোদিত গাছ নয়, রাস্তার পাশে থাকা হরিকতি, আমলকী ও বনজ মেহগনি গাছও কেটে বিক্রি করা হয়েছে।
রাকিবুল ইসলাম শিপন বলেন, আমরা বৈধ প্রক্রিয়ায় গাছগুলো কিনেছি। তবে শ্রমিকরা কাটার সময় কিছু ভুল করে অনুমোদিত গাছের সঙ্গে অন্য গাছও কেটে ফেলেছে।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকারকে সেখানে পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই এসব গাছ কেটে ফেলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে বনজ ও ঔষধি গাছ কাটার অনুমতি ছিল না।
বগুড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান জানান, ১৫ মে ২০২৫ সালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারি রাস্তার পাশে এসব গাছ কাটার ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি বাধ্যতামূলক।
স্থানীয়দের উদ্বেগ, অনুমোদনের বাইরে বনজ ও ঔষধি গাছ কেটে ফেলা হলে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।





























