
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ডাকা হরতাল এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ায় হাফেজ মাওলানা মুফতি কোরবান আলী কাসেমী দীর্ঘ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি হিসেবে বায়তুল মোকাররমে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল রোজার সময়ে কোরবান আলী তার বাসায় কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। হঠাৎ ডিবি পরিচয়ে ৮–১০ জন তার বাসায় প্রবেশ করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অফিসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। বিকেল ৪টার দিকে মাইক্রোতে করে তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে সেখানে তার খোঁজ না পাওয়া গেলে পরিবার চিন্তিত হয়। রাতের কোনো অনলাইন সংবাদে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তারা খানিকটা শিথিল হয়।
ডিবিতে থাকার সময় কোরবান আলী জানান, তাকে ইফতারের আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। পুলিশ দলের অন্যান্য নেতাদের তথ্য জানতে চেয়েছিল এবং পরিবারের ওপরও চাপ প্রয়োগ করেছিল। বাসা না চেনার কথা বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়। এরপর তাকে মশা ও বদ্ধ পরিবেশযুক্ত কোষে রাখা হয়। পরেরদিন আদালতে হাজির করা হলে সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
রিমান্ডকালে পুলিশ বিভিন্ন সময় ইসলাম বিদ্বেষী প্রশ্ন করত এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন অযাচিত বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে কষ্ট দিত। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার পর প্রথম দুই মাস পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগের সুযোগ ছিল না। এ সময় তার শ্বশুর ইন্তেকাল করেন, কিন্তু কারারক্ষীর ভয়ে সে খবর জানার পরও কান্না করতে পারেননি।
কোরবান আলী আরও জানান, তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ‘হীরাঝিল জামে মসজিদে’ ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। গ্রেপ্তারের ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি চলে যায় এবং মাদরাসার বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও ইমাম-খতিবের দায়িত্ব ফিরে পাননি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলা এখনও স্থিত আছে। তিনি বলেন, এমন আচরণ ফ্যাসিস্টমুক্ত পরিবেশের জন্য দুঃখজনক।





























