
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম সাম্প্রতিক দিনে সাময়িকভাবে কমেছে, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণ এখনও শক্তিশালী বিনিয়োগ হিসেবে থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারে টানা দুই দিনের দরপতনের পরে স্বর্ণের আউন্সপ্রতি দাম বুধবার ৪,০৬৭ ডলারে নেমেছে, যা মঙ্গলবারের উচ্চতা ৪,১৬১ ডলারের থেকে প্রায় ৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচার্সের দামও হ্রাস পেয়ে ৪,০৮৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত তিনটি কারণে দাম কমেছে। প্রথমত, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান অন্যান্য মুদ্রার ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণের দাম তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল করে তুলেছে। দ্বিতীয়ত, স্বর্ণের সাম্প্রতিক উচ্চ মূল্যে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের লাভ নিয়েছেন। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা কমে আসায় নিরাপদ বিনিয়োগের আকর্ষণ কিছুটা কমেছে।
স্বল্পমেয়াদে বাজার কিছুটা অস্থির থাকলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৪,০০০ ডলারের আশেপাশে স্থিতিশীল থাকতে পারে। ৪,০৫০ ডলারে একটি শক্তিশালী সাপোর্ট লেভেল বিদ্যমান থাকায় বিনিয়োগকারীরা বাজারের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন।
দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের বাজারের বিষয়ে আশাবাদী বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয়চেষ্টার কারণে স্বর্ণের মূল্য শক্তিশালী অবস্থায় থাকবে। ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক স্থগিত হওয়া এবং ট্রাম্প-শি জিনপিং বৈঠকের অনিশ্চয়তা বাজারে অস্থিরতার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, স্বর্ণের পাশাপাশি রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের বাজারেও সাময়িক দরপতন দেখা গেছে। স্পট সিলভার প্রতি আউন্স ৪৮.২৮ ডলারে নেমেছে। বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদী চাপ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘমেয়াদে মূল্যবান ধাতুর বাজারে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখছেন।



























