
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলন অবশেষে ফল দিয়েছে। সরকারের ঘোষণায় তাদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। শিক্ষকদের ভাষ্য, এটি শুধু আর্থিক সাফল্য নয়, বরং শিক্ষক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের একটি বড় প্রাথমিক অর্জন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার। ২০১৫ সালের অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল প্রবর্তনের পর থেকে তাদের বঞ্চনা আরও প্রকট হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে চার দফায় আন্দোলন হলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দাবিগুলো পূরণ হয়নি।
শিক্ষক নেতারা জানান, চলমান আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক দলের কিছু অংশের বিরোধিতা থাকলেও এবার আন্দোলনে রাজনৈতিক রং থাকেনি। আন্দোলন শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং শিক্ষক সংগঠন একজোট হয়ে দাবি তুলেছিল। বিশেষত বিএনপির প্রকাশ্য সমর্থনও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
টানা আন্দোলনের পর সরকার ঘোষণা করে, ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে আরও ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা মোট ১৫ শতাংশ হবে।
শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আমাদের পাশে ছিল, তাই আমরা সফল হয়েছি। আন্দোলনের সাফল্যে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন।”
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, “এটি শিক্ষা খাতের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন। শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য পাওনা পেয়েছেন, তবে আরও বেশি পাওয়ার যোগ্য।”
দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে অর্জিত এই বিজয় শিক্ষকদের ন্যায়বিচার ও মর্যাদা পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। শিক্ষকরা আশা প্রকাশ করেছেন, জাতীয়করণের আন্দোলনসহ আরও মৌলিক দাবির জন্য ভবিষ্যতে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।



























