
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী জানিয়েছেন, ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যা করার ঘটনায় নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যার সময় জোবায়েদ বর্ষার কাছে বাঁচার আকুতি করেছিলেন, কিন্তু বর্ষা তাকে অনড় রেখে ঘটনাস্থলে তাকে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ডিসি মল্লিক জানান, ঘটনার সময় জোবায়েদ দুই তলা থেকে উপরে ওঠে বাঁচার জন্য। তিনি বর্ষাকে দেখিয়ে বলেছিলেন, “আমাকে বাঁচাও।” কিন্তু বর্ষা উত্তর দেন, “তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না।” এরপর দরজায় নক করেও জোবায়েদ সাহায্য পাননি।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ছিল পূর্বনির্ধারিত। বর্ষা ও মাহির হত্যার জন্য নতুন দুটি ছুরি কিনেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় মাহির ছুরি চালিয়ে জোবায়েদকে হত্যা করেন, এবং এটি ছিল বর্ষার নির্দেশে।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্ষার মাহিরের সঙ্গে ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে বর্ষা জোবায়েদের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। মাহিরকে জানানো হয় যে, সে জোবায়েদকে পছন্দ করে। কিছুদিন পর বর্ষা মাহিরকে জানিয়ে দেয়, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। এরপরই তারা যৌথভাবে পরিকল্পনা করেন জোবায়েদকে হত্যার।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রথমে বর্ষা হত্যার পরিকল্পনা স্বীকার করেননি। তবে মাহির ও তাকে মুখোমুখি করলে সত্য ঘটনা প্রকাশিত হয়। পুলিশ জানায়, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই তারা হত্যার পরিকল্পনা করছিল।
জোবায়েদ হোসাইন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। হত্যার ঘটনায় বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার তাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
জোবায়েদ ছাত্রীকে এক বছর ধরে আরমানীটোলার নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা বাসায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। হত্যাকাণ্ড ঘটে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪:৪৫ মিনিটে, ছাত্রীর বাসার তিন তলায় ওঠার সময়। সিঁড়ি থেকে তিনতলা পর্যন্ত রক্ত ছড়িয়ে ছিল।





























