
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে সভাপতি পদ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সাবেক অধিনায়ক—আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তামিম ইকবাল—এর মধ্যে বিশেষভাবে তামিম আইনি ও সাংগঠনিক স্পটলাইটের মধ্যে আছেন।
গতকাল (২৪ সেপ্টেম্বর) ছিল আপত্তি গ্রহণের শেষ দিন। সন্দেহ-আপত্তি ওঠার পরে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজে হাজির হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেশের এই তুখোড় ওপেনার। মিরপুরে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলার সময় তামিম জানান, তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে ওঠা ‘আপত্তি’ কোনো আইনি ভিত্তি রাখে না।
তিনি বলেন, “আপনারা প্লিজ গঠনতন্ত্রটা বের করে দেখেন—সেখানে ‘সাবেক ক্রিকেটার’ লেখা আছে। কিন্তু ‘সাবেক ক্রিকেটার’ শব্দটির সঙ্গে কি কোনো শর্ত দেয়া আছে যে আমাকে যেন অফিসিয়ালি রিটায়ারমেন্ট ঘোষণা করতে হবে?”
তামিম স্মরণ করিয়ে দেন, তিনি সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন পাঁচ মাস আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। তাই নিজে ‘সাবেক ক্রিকেটার’ ধরা যেতে বাধা নেই—এমনটাই তাঁর যুক্তি। তিনি বলেন, “আমি যে সর্বশেষ ৫ মাসে একটা ম্যাচও খেলিনি, আমি যদি নিজের মনের মধ্যেই ঠিক করে রাখি যে আমি আর ক্রিকেট খেলব না—তাহলে আমি তো সাবেক হয়ে গেলাম।”
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকায় কয়েকজন ‘সাবেক ক্রিকেটার’ রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকে সম্প্রতি মাঠে নামছেন অথবা রিটায়ারমেন্ট ঘোষণা করেননি—এ বিষয়েও খোঁজখবর করেছেন তামিম। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম ও সাম্প্রতিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গ।
তামিম সতর্কভাবে বলেন, “বিসিবি যে ১৫ জনের তালিকা দিয়েছে—মোহাম্মদ আশরাফুল তো সম্প্রতি ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলেই এসেছে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাইও আমাদের প্রেসিডেন্ট, তিনি দেশেই বিস্তর কাজ করছেন—তারা কই থেকে এই প্রশ্ন তুলছেন?” তিনি আরও যুক্ত করেন, “আমরা যদি এভাবে আমাকে ধরতে চান, আপনারাও ধরা পড়বেন।”
বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই ও আপিল প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে চলছে। আগামী প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত নানা আইনী ব্যাখ্যা ও সাংগঠনিক আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে—যা নির্বাচনী পরিবেশে নতুন সংশয় বা মুক্ত বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।































