
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় দুই মাস পর, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে গাজা উপত্যকায় সামান্য পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিল ইসরায়েল। রবিবার (১৯ মে) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়। যদিও এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেই গাজার উত্তর ও দক্ষিণে নতুন করে ভয়াবহ স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ জারি করে রেখেছিল। ওই সময় আন্তর্জাতিক কোনো ত্রাণ বা মানবিক সহায়তাকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ অবরোধের লক্ষ্য ছিল হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে যে, অবরোধের ফলে গাজায় ভয়াবহ খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ সংকট তৈরি হয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, গাজার সাধারণ মানুষের মৌলিক খাদ্যঘাটতি দূর করতে এই ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তবে তারা নিশ্চিত করবে যেন এই সাহায্য হামাসের হাতে না পড়ে।
অন্যদিকে শনিবার থেকেই গাজায় নতুন করে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে হামাসের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযান চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি পক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, এই অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে জিম্মিদের মুক্ত করা ও হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাস্ত করা।
এই সময়েই কাতারে পরোক্ষভাবে একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনায় যে প্রস্তাব রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—সব জিম্মির মুক্তি, হামাস যোদ্ধাদের গাজা ত্যাগ, এবং পুরো উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ।
বিশ্লেষণ:
ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি অনেকটা কৌশলগত চাপ প্রশমনের উপায় হতে পারে, যাতে আন্তর্জাতিক সমালোচনা সাময়িকভাবে ঠেকানো যায়। তবে একই সময়ে চালানো ভয়াবহ স্থল অভিযান পুরো বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে। মানবিক সহায়তা আর রক্তক্ষয়ের এই দ্বৈত চিত্রই এখন গাজার বাস্তবতা।