
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট ইতিহাসে আরও এক বিস্ময়কর রাত। শক্তিধর বাংলাদেশ দলকে বুকে ঠেলে ফেলে জয় তুলে নিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। শুধু জয়ই নয়, ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর গৌরব অর্জন করলো তারা। ম্যাচটি ঘিরে তৈরি হলো নিন্দা ও বিস্ময়ের ঢেউ, বিশেষ করে বাংলাদেশি বোলারদের ব্যর্থতায়।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দল শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। তানজিদ হাসানের ঝড়ো ৫৯, লিটনের ৪০, হৃদয়ের ৪৫ এবং জাকের আলীর শেষের ঝলক ১৮ রানে ভর করে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৫/৫। এটি ছিল বাংলাদেশের দীর্ঘ ২৪ ম্যাচ পর ২০০+ স্কোর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমিরাতের ওপেনার ওয়াসিম একাই বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে উড়িয়ে দেন। ৫২ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার সঙ্গে জুহাইবের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৭ রান। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের হাত থেকে ফসকে যাওয়া একাধিক ক্যাচও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
ম্যাচের শেষ ১১ বলে যখন ২৯ রান দরকার, তখন মনে হচ্ছিল জয় বাংলাদেশের দিকেই যাবে। কিন্তু তানজিম সাকিবের একটি নো বল ও একটি ওয়াইড বলে খেলা ছিনিয়ে নেয় আমিরাত। শেষ পর্যন্ত হায়দার আলীর ২ রানে জয় নিশ্চিত করে তারা।
অধিনায়ক দাসের ব্যর্থ নেতৃত্ব ও হাস্যকর ব্যাখ্যা।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস হারের পেছনে ‘দুর্ভাগ্য’ ও ‘শেষ মুহূর্তের ভুল’কে দায়ী করেন। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ব্যাখ্যা আত্মঘাতী ও দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টার শামিল। বারবার ক্যাচ ফেলা, নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং ও চাপের মুখে ভেঙে পড়া দলগত ব্যর্থতারই প্রমাণ।
এই হারের ফলে সিরিজ ১-১ এ সমতায় দাঁড়িয়েছে। আগামীকাল শারজাহতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, তবে এটাই হবে আমিরাতের কাছে প্রথমবার সিরিজ হার, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায় হয়ে থাকবে।