
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক শক্ত অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করেছেন, “এই সংঘাতে ভারত যে পরাজয় বরণ করেছে, তা তারা কখনোই ভুলতে পারবে না।” শুক্রবার (২৩ মে) পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সামরিক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক উপাধি ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে অভিষিক্ত করা হয়। এই ঐতিহাসিক আয়োজনে রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি জারদারি বলেন, “সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা হচ্ছে এক সাহসী সেনানায়ককে, যিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।” এরপর তিনি জেনারেল আসিম মুনিরের হাতে ‘ফিল্ড মার্শাল’ ব্যাটন তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এই পদোন্নতি শুধু একজন সামরিক কর্মকর্তার জন্য সম্মান নয়, এটি গোটা পাকিস্তানের জন্য এক গর্বের ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ভারতীয় আগ্রাসনের বিপরীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু আত্মরক্ষা করেনি, বরং শত্রুর ভেতরে প্রবেশ করে তাদের পরিকল্পনাকে ধূলিসাৎ করেছে।”
পরে কাশ্মিরের মুজাফফরাবাদে শহীদ পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই যুদ্ধ ভারতের জন্য এমন এক পরাজয়, যা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চাইলেও পারবে না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকে ভাবতেন পাকিস্তান প্রচলিত যুদ্ধে দুর্বল, কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি—ঈমান, ঐক্য ও সাহস থাকলে আমাদের পরাজিত করা অসম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ইনশাআল্লাহ, এমন এক দিন আসবে, যেদিন কাশ্মির হবে পাকিস্তানেরই অংশ।”
বিশ্লেষকদের মতে, শেহবাজ শরিফের এই বক্তব্য কূটনৈতিকভাবে ভারতের প্রতি এক কঠোর বার্তা বহন করে, যা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, জেনারেল আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত হওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক নতুন শক্তিমানের আবির্ভাবকেই নির্দেশ করে।