
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে চলমান ‘ইসরায়েল কাপ’ ফুটবল ফাইনাল হঠাৎই রূপ নেয় এক চরম নিরাপত্তা সংকটে। ম্যাচ চলাকালীন সময়েই স্টেডিয়ামে বেজে ওঠে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা সাইরেন। মুহূর্তের মধ্যে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ ও তাঁর স্ত্রীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে সরিয়ে নেওয়া হয় স্টেডিয়াম থেকে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে ব্লুমফিল্ড স্টেডিয়ামে বেইতার জেরুজালেম ও হাপোয়েল বেয়ারশেবা দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল জমজমাট ফাইনাল ম্যাচ। দর্শকরা যখন খেলায় মগ্ন, ঠিক তখনই আকাশ কাঁপিয়ে বাজতে শুরু করে রকেট হামলার সতর্ক সংকেত। আতঙ্কে স্টেডিয়ামে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। খেলা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং স্টেডিয়াম খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
🎯 হামলার দায় স্বীকার হুথিদের
ইয়েমেনভিত্তিক হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি এক ঘোষণায় জানান, এই হামলা তাদেরই চালানো। তিনি বলেন, “গাজায় ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসনের জবাবে আমরা এই প্রতিশোধ নিয়েছি। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।”
ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু হামলা প্রতিহত করলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় ফাইনাল ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। প্রেসিডেন্ট হার্জোগ ও তাঁর স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রাজনীতিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী তেল আবিবসহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় করা হয়েছে।