
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজায় অন্তত ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ১৬৭টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং তিনটি গির্জা, ১৯টি কবরস্থান ধ্বংস হয়েছে। সেইসঙ্গে ইসরায়েলি সরকার এবার সরাসরি মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যাকে মুসলিম বিশ্বের প্রতি চরম অবমাননা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির আজানকে “শব্দদূষণ” আখ্যা দিয়ে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, যেন মসজিদে প্রবেশ করে লাউডস্পিকার জব্দ করা হয়। হারেৎজ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি জেলা পুলিশ কমান্ডারদের উদ্দেশে বলেন, “আমি তোমাদের নিয়োগ দিয়েছি আমার নীতি বাস্তবায়নের জন্য।”
বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তার আদেশ যথাযথভাবে পালন করছেন না, এমনকি জরিমানাও আরোপ করছেন না। তবে কেন্দ্রীয় জেলার কমান্ডারকে প্রশংসা করেছেন, যিনি ইতোমধ্যে মসজিদগুলোর বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের জরিমানা আরোপ করেছেন।
ইসরায়েলি এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস (Hamas)। তারা বলছে, এটি মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সরাসরি আগ্রাসন এবং ধর্মীয় অধিকারে চরম হস্তক্ষেপ। হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।”
বিশেষ করে দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের ঐতিহাসিক আনসার মসজিদ সম্প্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়। হামলায় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় শুধু ধর্মীয় স্থাপনাই নয়, লক্ষাধিক ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, বিদ্যালয় ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যুদ্ধবিরতির আহ্বান বারবার উপেক্ষা করছে ইসরায়েল।