
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দখলদার ইসরাইলের আক্রমণের পাল্টা জবাবে শুক্রবার রাতে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরাইলের সামরিক ও বিমান ঘাঁটিগুলোর ওপর এই সমন্বিত হামলায় ১০০টির বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। এ হামলা প্রতিহত করতে ইসরাইলকে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর দিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রু প্রমিস ৩’। তারা বলেছে, ‘এটি একটি বৈধ প্রতিরক্ষামূলক জবাব।’
ইসরাইল দাবি করেছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র তারা আকাশেই ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ভূমিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিমান বা যুদ্ধজাহাজ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে এই তথ্যের স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি প্রতিনিধির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ইসরাইলের হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩২০ জন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
এর আগে শুক্রবার ভোরে ইসরাইল একটি বড় ধরনের হামলা চালায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায়। এ হামলায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘রাইজিং লায়ন’।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন আইআরজিসি প্রধান হোসেন সালামি, খতম-আল আম্বিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলামালী রশিদ এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাবেক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ফেরেদুন আব্বাসি।
ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও শহর লক্ষ্য করে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন। টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশ কিছু তেলআবিবে আঘাত হানে। এতে অন্তত ২১ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, ইরনা, এএফপি