
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে ড্রোন হামলা। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে চালানো এই হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর মধ্যে।
তিনটি ড্রোন ভূপাতিত
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের মার্কিন নিয়ন্ত্রিত আইন আল-আসাদ ঘাঁটির দিকে নিক্ষেপ করা তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইরানের হুঁশিয়ারি বাস্তবায়নের আশঙ্কা
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা হতে পারে। ইসরায়েল-ইরান চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে তেহরান। এর আগেও ইরান ঘোষণা দিয়েছিল, “মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক ঘাঁটি আমাদের প্রতিশোধের আওতায় থাকবে।”
রুশমাধ্যম স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতেও আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে।
বিশ্বজুড়ে সতর্কবার্তা, ঘাঁটিগুলোতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি
ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ তীব্র হয়ে ওঠায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আঞ্চলিক ঘাঁটি ১৯টি, ঝুঁকিতে ৮টি স্থায়ী ঘাঁটি
যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৯টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। এর মধ্যে আটটি স্থায়ী ঘাঁটি রয়েছে বাহরাইন, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সবগুলো ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকেও যুদ্ধে জড়াতে পারে—যা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও ভয়াবহ সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাবে।
সূত্র: বার্তা সংস্থা এপি, আলজাজিরা, স্পুটনিক, ওয়াশিংটন পোস্ট