
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্বাস্থ্য: মাথাব্যথা এমন একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায় প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময়ে অনুভব করেন। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সাময়িকভাবে স্বস্তি পান, কিন্তু আসল কারণটা খুঁজে দেখেন না। অথচ মাথাব্যথার ধরন ও অবস্থান অনেক সময় শরীরের ভেতরের বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথার কোন পাশে ব্যথা হচ্ছে সেটি ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে সহজেই রোগের ধরন চিহ্নিত করা যায়। নিচে মাথাব্যথার বিভিন্ন ধরন ও তার সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরা হলো,
মাইগ্রেন:
মাথার একপাশে দপদপে ব্যথা শুরু হয় যা ধীরে ধীরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় চোখের আশপাশেও যন্ত্রণা অনুভূত হয়। একে সাধারণভাবে “আধেকপালি মাথাব্যথা” বলা হয়। আলো বা শব্দে সংবেদনশীলতা, বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা এ ব্যথার সাধারণ উপসর্গ।
টেনশন হেডেক (চাপজনিত মাথাব্যথা):
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা ঘুমের অভাব থেকে এই ব্যথা শুরু হয়। এতে পুরো মাথা ভারী লাগে এবং মনে হয় যেন কেউ মাথাটা চেপে ধরেছে। অফিসের কাজের চাপ বা মানসিক উদ্বেগ এ ধরনের ব্যথা বাড়ায়।
ক্লাস্টার হেডেক:
এটি মৌসুমি বা নির্দিষ্ট সময়ে দেখা দেয়। সাধারণত চোখের পেছন থেকে মাথার একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয় এবং চোখ লাল হয়ে পানি পড়ে। পুরুষদের মধ্যে এই ব্যথা তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ:
যদি মাথার পেছন দিক থেকে ঘাড় পর্যন্ত তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, তবে সেটি ব্রেন হেমোরেজ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের লক্ষণ হতে পারে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
ব্রেন ইনফেকশন (সংক্রমণজনিত ব্যথা):
পুরো মাথায় ব্যথা অনুভূত হয়, সঙ্গে ঘাড়ে টান ধরে। সংক্রমণের কারণে জ্বর, বমি ও মাথা ঘোরা থাকতে পারে। চিকিৎসা বিলম্ব হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
চোখের পাওয়ার বেড়ে গেলে:
চোখের আশপাশে টান ও মাথায় ভারীভাব অনুভূত হয়। দীর্ঘ সময় মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে এই ব্যথা আরও বাড়ে। চশমার পাওয়ার ঠিক না থাকলেও এমনটা হতে পারে।
ব্রেন টিউমার:
মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে টিউমার হলে সেই পাশেই মাথাব্যথা শুরু হয়। টিউমার ছোট থাকলে ব্যথা হালকা হতে পারে, তবে টিউমার বড় হলে তীব্র ও স্থায়ী ব্যথা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথাব্যথা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। যদি মাথাব্যথা বারবার ফিরে আসে, চোখে ঝাপসা দেখা যায়, মাথা ঘোরে বা বমি বমি লাগে, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।



























