১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭
সর্বশেষ
বাংলাদেশকে সুপার ফোরে উঠালো কালনাগিনী খ্যাত শত্রু শ্রীলংকা
আন্তর্জাতিক সংবাদ
জাতীয় সংবাদ
কর্তৃত্ব হারানোর পথে ট্রাম্প: আন্তর্জাতিক আস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রশ্নবিদ্ধ
কলকাতায় পৌঁছালো বাংলাদেশের ইলিশ, বিক্রি হচ্ছে কত দামে
ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে নির্বাচনের ময়দানে নামার ইঙ্গিত তামিম ইকবালের
ডেঙ্গুর মশার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দেশ, একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু!
মিডিয়ার স্বাধীনতা এখনো নিশ্চিত নয়: নাহিদ ইসলাম
ঢাকায় আজ জামায়াতে ইসলামীসহ ৭ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি
লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ: আমরা যা ঘৃণা করি তার সবকিছুর প্রতিনিধিত্ব করেন ট্রাম্প
আমার ওপর আস্থা রাখুন, গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল: তারেক রহমান
গা’জায় ইস’রায়ে’লের টানা হাম’লায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৬৫ হাজারেরও বেশি
নামাজ ত্যাগের ফলে দুনিয়ায় যে সব শাস্তি ভোগ করতে হয়
টানা ৮ বার দাম বাড়ার পর অবশেষে দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম
হামলার শিকার হলে একসাথে জবাব দেবে সৌদি আরব ও পাকিস্তান

টেন্ডার ছাড়াই ৯০ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির অনুমতি দিয়েছিল সাবেক শেখ হাসিনা সরকার

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিতে থাকে স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।

জানা গিয়েছে, দ্রুত উৎপাদনের কথা বলে দরপত্র ছাড়াই ৯০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির অনুমোদন পায় কয়েকটি কোম্পানি। এটাকে আইনী বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণীত হয় দায়মুক্তি আইন; যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন নামে পরিচিত। সেখানে বলা হয়, ”কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

মাত্র দুই বছরের জন্য এই আইন করা হলেও সম্পূর্ণ বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে তা টিকিয়ে রাখা হয় পনেরো বছর। বিশেষ ক্ষমতা আইনের বাইরে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পেয়েছে কয়েকটি বিদ্যুৎ কোম্পানি। তিন বছরের চুক্তিতে থাকা রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর কয়েকটি চলেছে বছরের পর বছর, সেগুলোর জন্য গুণতে হয়েছে বিশাল অঙ্কের ভাড়া।

আরো জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৮০ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর বা সক্ষমতায় চলার কথা, যদিও বেশিরভাগই চলেছে ৬০ শতাংশের নিচে। দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা সাড়ে ২৭ হাজার মেগাওয়াটের মতো। অথচ গড়ে উৎপাদন করা হয় ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়মিতই শোধ করেছে সরকার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ৫৮ ভাগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকায়।

সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে সামিট গ্রুপ। তাদের পেছনে সরকার ব্যয় করেছে ১০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। এছাড়া, এগ্রিকো ৭ হাজার ৯৩২ কোটি, এরদা পাওয়ার ৭ হাজার ৫২৩ কোটি, ইউনাইটেড ৬ হাজার ৫৭৫ কোটি ও আরপিসিএলকে ৫ হাজার ১১৭ কোটি চার্জ দিয়েছে সরকার।

তাই দ্রুত সংকট চিহ্নিত করে দোষীদের শাস্তি ও ভবিষ্যতে অনিয়ম প্রতিরোধে কার্যকর নির্দেশনা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত