৩১শে মার্চ, ২০২৫, ১লা শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
নিজ কার্যালয় থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস
ঈদের দিনেও নি/কৃ/ষ্ট হা/য়ে/না ই/র/ইলি বোমায় ২০ শিশুর র/ক্তে রঞ্জিত গাজা!
নি/র্ল/জ্জ ক্ষ/মতা লো/ভী খু/নি শাসক আসাদ বিহীন সিরিয়ার প্রথম ঈদ, দেশ জুড়ে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি
দেশের আকাশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গিয়েছে (সোমবার ঈদ)
ঢাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত কোথায় কখন শুরু হবে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২১, আহত দুই সহস্রাধিক
সৌদি আরব সহ ১১টি দেশে আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছে
ঈদের খুশিতে মুক্তি পেলেন ২৪ বন্দি
মেহেদি থেকে গাঢ় রং পেতে চাইলে জেনে নিন সহজ কিছু টিপস্

দেশের সংবিধান সংশোধন নিয়ে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাহর ৪ প্রস্তাবনা

দেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ্। ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: দেশের সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। সংবিধান সংশোধন বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের অধিকাংশ মহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাহ।

জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে তিনি উক্ত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে শায়খ আহমাদুল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনাসহ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সংবিধান সংশোধন বিষয়ে শায়েখ আহমুদুল্লাহ্ তার প্রত্যাশা ও প্রস্তাবানার কথা জানিয়েছেন।

ওই ফেসবুক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশা। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে।

তিনি আরো লিখেছেন, ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় উক্ত সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও লিখিত প্রস্তাবনাসহ আমার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আশা করি, জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন। কমিশনের সদস্যরা ইতোমধ্যে অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেওয়া শুরু করেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

তিনি তার পোস্টের প্রথম কমেন্টে লিখেছেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।

১) সংবিধানে এ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সংবিধানে এ রকম কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি।

২) সংবিধানের শুরুতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি’ এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে, যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে।

৩) সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের বিলোপ করতে হবে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী।

৪) শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আশা করি, সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত