
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশার বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন পথচারী ও যাত্রীরা। এমনকি, অনেক সময় প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে।
তিনদিন আগে হালিশহরের ওয়াপদা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার খোঁজে বের হলে ব্যাটারিরিকশার বেপরোয়া গতি ও কিশোর চালকের অদক্ষতায় গুরুতর আহত হন আমজাদ হোসেন। একইভাবে, গত অক্টোবরে পতেঙ্গা সৈকতে যাওয়ার সময় রিং রোডে তীব্র গতিতে আসা একটি ব্যাটারিরিকশার ধাক্কায় আহত হন এক দম্পতি। এ ধরনের ছোট-বড় দুর্ঘটনা এখন চট্টগ্রাম নগরজুড়ে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর নগরীর মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে শতাধিক ব্যাটারিরিকশা আটক করছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ৫,১০৯টি রিকশা জব্দ করা হয়েছে। তবে এ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই রিকশাগুলোর দাপট বন্ধ করা যাচ্ছে না।
নগরবাসী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নীতিমালা প্রণয়ন ও ব্যাটারিরিকশার উৎপাদন-আমদানি বন্ধ করা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কারণ, অনেক সময় এসব রিকশার চালকরা কিশোর, যাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র থাকে না। জব্দ করা রিকশাগুলো মামলার নামমাত্র জরিমানা পরিশোধের মাধ্যমে সহজেই ছাড়িয়ে আনা হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য জানান, প্রতিদিন একশ’টির বেশি রিকশা জব্দ করলেও তাদের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা ক্লান্ত। রিকশাগুলো অলিগলিতে ফিরে গিয়ে আবার দৌরাত্ম্য চালায়।
চট্টগ্রাম নগরবাসী সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর ব্যবস্থা ও কার্যকর নীতিমালার দাবি জানিয়েছে।