
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েল গত দুই দিনে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, এসব হামলার মূল লক্ষ্য ছিল রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং রকেট উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা স্থাপনাগুলো।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর এসব অস্ত্র উগ্রপন্থীদের হাতে না যায়।
এদিকে, জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণ সংস্থা ওপিসিডব্লিউ (OPCW) সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে, সিরিয়ায় থাকা রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। যদিও সিরিয়া ২০১৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র সনদে স্বাক্ষর করেছিল এবং ১৩শ টন রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের দাবি করা হয়েছিল, তা সত্ত্বেও অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ হয়নি।
২০১৩ সালের দামেস্কের একটি রাসায়নিক হামলায় ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলাকালে অন্তত ১০৬ বার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের এই হামলা এমন সময়ে হয়েছে, যখন ওপিসিডব্লিউ সিরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে এবং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রকে টার্গেট করার দাবি জোরালো হলেও এর মাধ্যমে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওপিসিডব্লিউর সতর্কবার্তা এবং অতীতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনাগুলো পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। সিরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে এই হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসবে এবং ভবিষ্যতে বড় কোনো সংঘাতের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।