১৫ই এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
চাকরি বাঁচাতেই কি ভয়ংকর সিন্ডিকেটের কথায় উঠ বস করে কোচ ক্যাবরেরা? অবশেষে থলের বিড়াল বের হলো!
ঋণ দেওয়া টাকার উপর যাকাত আদায় করা কি বাধ্যতামূলক?
ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফানের নেতৃত্বে আনসার ও ভিডিপির ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত
ঈদ কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ইসলাম অবমাননার দায়ে প্রথম আলোকে ক্ষমা চাইতে হবেঃ জামায়াত আমীর
আপনি জানেন কি? মোবাইল ইন্টারনেটের অপব্যবহার আপনার কলিজার টুকরো সন্তানের মস্তিষ্ককে কিভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে! বাঁচতে হলে জানতেই হবে..
আবারও গাজায় ‘ই/স/রাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত
রমনার বটমূল থেকে শেষ হলো বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ত্রিমুখী বিভক্তি, ঐক্যের পথ অনিশ্চিত
পহেলা বৈশাখ উদযাপন: রমনার বটমূলে এক নতুন যুগের সূচনা

সম্প্রতি উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত পাওয়া ভারতীয় সাদ’পন্থী গ্ৰুপের শীর্ষ নেতা মুয়াজ বিন নূর গ্রেফতার

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় তাবলিগ জামাতের ভারতীয় আমির সাদ’পন্থী গ্ৰুপের শীর্ষ বাংলাদেশী নেতা মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দর হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, এই মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

১৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সাদপন্থীরা সাধারণ মুসল্লিদের ওপর বর্বর হামলা চালায়। এ ঘটনায় চারজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়, আলমি শূরার সদস্য এস এম আলম হোসেন টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকশ’ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী এস এম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাওলানা জুবায়ের অনুসারী এবং কিশোরগঞ্জের আলমি শূরার সদস্য। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, সাদপন্থীরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে তাদের অনুসারীদের জড়ো করার জন্য ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারণা চালায়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম চিঠির মাধ্যমে সারা দেশে সাদপন্থীদের নির্দেশ দেন ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে জড়ো হওয়ার জন্য। অন্যদিকে, আরেক আসামি আব্দুল্লাহ মনসুর ফেসবুক লাইভে ঘোষণা করেন, যদি মাওলানা সা’দকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়, তবে তারা তা মানবে না।

উসকানিমূলক এই কর্মকাণ্ডের পর, ১৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে, সাদপন্থীরা টঙ্গীতে আলমি শূরার সদস্যদের ওপর হিংস্র হামলা চালায়। এতে তিন জেলার তিনজন মুসল্লি নিহত হন।
নিহতরা হলেন:

আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৬৫), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া।

বেলাল হোসেন (৬০), ফরিদপুর।

তাজুল ইসলাম (৫০), বগুড়া।

এছাড়া আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। নিহতদের কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গী ময়দানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। মামলার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি ইস্কান্দর হাবিবুর রহমান।

এই ঘটনায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশ্ব ইজতেমার মতো পবিত্র আয়োজনকে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতা ইসলামি সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত