১২ই মার্চ, ২০২৫, ১১ই রমজান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি: কুরআন ও হাদিসের আলোকে কঠোর সতর্কবার্তা
যাকাত: ধনীদের জন্য পরীক্ষা, গরিবের জন্য রহমত, আর সমাজের জন্য শান্তি
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক: আফগান মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার নারী-শিশু
পাকিস্তানে হাইজ্যাক হওয়া ট্রেনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ১৩
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক, বেলুচ গোষ্ঠী জিম্মি যাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, অন্যান্য স্থানে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে
পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন অনেকেই: আনিসুজ্জামান
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, গ্রাহকদের জন্য সমস্যা হতে পারে
ফিতরা ২০২৫: ঈদুল ফিতরের আগে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ
দ্রুত বিচার ও শাস্তি কার্যকর: ধর্ষণ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাইকে মুক্তি দিয়েছে হাইকোর্ট

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্কঃ ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ও অন্যান্য সাজাপ্রাপ্ত সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন,পাবনা জেলা বিএনপি নেতা কে এম আখতারুজ্জামান,ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু,কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মোকলেসুর রহমান বাবলু, তার ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম শাহিন, অপর ভাই মাহবুবুর রহমান পলাশ, বিএনপি নেতা মো. অটল, যুবদল নেতা শ্যামল (নূরে মোস্তফা), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান শাহীন এবং বিএনপির সাবেক নেতা শামসুল আলম।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫ জন ও ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামিকেও খালাস দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ট্রেনবহর পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে ঢোকার সময় হামলার শিকার হয়।

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। শুরুতে পুলিশ সাক্ষ্য প্রমাণ না পেয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও আদালত সেটি গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের নির্দেশ দেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে। ১৯৯৭ সালে নতুন করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালত ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, “এই মামলায় আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপপ্রয়োগ হয়েছে। অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।” রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান মামলার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে আদালত আজ সবাইকে খালাসের রায় দেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত