
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল, যা সেখানে মানবিক সংকট আরও গভীর করতে পারে। রমজানের শুরুতেই এই নিষেধাজ্ঞা গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও হামাস নতুন আলোচনায় অংশ নেয়নি। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস যদি বন্দি বিনিময়ের শর্ত মেনে না নেয়, তবে তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াবে না এবং ত্রাণ প্রবেশের অনুমতিও দেবে না।
হামাস এই সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক’ ও ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, গাজার সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই ইসরায়েল ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করেছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং মুসলিম দেশগুলো এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি আরব একে ‘নিষ্ঠুরতা ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গাজায় বর্তমানে খাদ্য, পানি, ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ সহায়তার চরম সংকট চলছে। যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষুধা ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর এখন গাজার দিকে, যেখানে লাখো মানুষ মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।