
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: মানব পাচারকারীরা আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মানব পাচার রোধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আরও কঠোর এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে BIMSTEC-এর (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) একটি বিশেষ বৈঠকে।
রবিবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয় BIMSTEC-এর মানব পাচারবিষয়ক সাব-গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক। সভার প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও BIMSTEC সাব-গ্রুপের চেয়ারম্যান খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান।
সভায় জানানো হয়, পাচারকারীরা অভিবাসন রুট এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মানব পাচার প্রতিরোধে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এরই মধ্যে শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে। পাচারকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মানব পাচার রোধে জাতীয় কৌশলের অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক প্রচার, ভুক্তভোগীদের শনাক্তকরণ ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের লক্ষ্যে একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে হোস্ট করা হয়েছে।
বৈঠকে BIMSTEC-এর সাতটি সদস্য দেশ—বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড—এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা মানব পাচারের বিরুদ্ধে তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, যৌথ অভিযান এবং আইনি সহায়তা কাঠামো জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা শেষে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগামী দুই বছরের জন্য BIMSTEC মানব পাচারবিষয়ক সাব-গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের প্রত্যয় জানানো হয়।