
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় চলমান সামরিক অভিযানে অংশ নিতে আপত্তি জানানোয় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ৯৭০ জন সদস্যকে বাহিনী থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব সদস্য সম্প্রতি বিমানবাহিনীর প্রধানের কাছে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করে অভিযানের বিরোধিতা করেন এবং অভিযানের অবসান দাবি করেন।
চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে নিয়মিত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রিজার্ভ পাইলট ও অন্যান্য কর্মীও রয়েছেন। ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিঠি পাওয়ার পর বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডাররা স্বাক্ষরকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন—যাঁরা নাম প্রত্যাহার করবেন, কেবল তাঁরাই বাহিনীতে থাকতে পারবেন।
তবে এই হুমকির প্রভাব খুব একটা পড়েনি। মাত্র ২৫ জন সদস্য নিজ নাম প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা দাবি করেন, গাজায় ইসরায়েলের এই সামরিক পদক্ষেপ নিরাপত্তার কারণে নয়, বরং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার নিজেদের গদি রক্ষায় এই আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমের বার বলেন, এটি শাস্তিমূলক নয়, বরং যৌক্তিক নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্ত। কারণ অভিযানে দায়িত্ব পালনে এই সদস্যদের উপর আস্থা হারিয়েছে বাহিনী। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন এমন চিঠি দেওয়া বাহিনীর শৃঙ্খলা ও কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আশ্বস্ত করেন যে, নেতানিয়াহু সরকার খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নেবে এবং গাজা থেকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার। গাজার সরকারি তথ্যে এই সংখ্যা আরও বেশি, যেখানে বলা হয়েছে মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে নিখোঁজ।