
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে এক বিশাল গণজমায়েত। বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এই কর্মসূচিকে ঘিরে সারা দেশ থেকে মানুষের ঢল নামার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এই কর্মসূচির আয়োজক ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন, যারা জানায়—এই আয়োজন শুধুই একটি প্রতিবাদ নয়, বরং এটি বিশ্ববাসীর কাছে একটি মানবিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও।
এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। আয়োজনে অংশ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন—যেমন বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ আরও অনেকে।
সমাবেশস্থলে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রধান মঞ্চ, স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার ও জেনারেটর। প্রতিবাদের আওয়াজ যাতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর কানে পৌঁছায়, সেজন্য উদ্যানে বসানো হয়েছে প্রায় ২০০টি মাইক।
এই কর্মসূচিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম-ওলামা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বার্তা দিয়ে মানুষকে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ নিজেদের প্রোফাইলে এই আয়োজনের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে ঢাকা শহরের ৫টি পয়েন্ট থেকে পদযাত্রার মাধ্যমে মূল সমাবেশে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুপুর ২টায় এসব স্থান থেকে মার্চ শুরু হয়ে ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে মিলিত হবে:
১. বাংলামোটর → রমনা গেট (শাহবাগ হয়ে)
২. কাকরাইল মোড় → ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেট (মৎস্য ভবন হয়ে)
৩. জিরো পয়েন্ট → টি.এস.সি গেট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
৪. বকশিবাজার মোড় → টি.এস.সি গেট (শহীদ মিনার হয়ে)
৫. নীলক্ষেত মোড় → টি.এস.সি গেট (ভিসি চত্বর হয়ে)
প্রথমদিকে পরিকল্পনা ছিল শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত পদযাত্রা করার, তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তা বাতিল করা হয়েছে। এখন শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত হয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্দেশনা!
টিএসসি মেট্রো স্টেশন আজ বন্ধ থাকবে।
পরীক্ষার্থীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পরীক্ষাকেন্দ্রগামী রাস্তাগুলো উন্মুক্ত থাকবে।
অংশগ্রহণকারীদের নিজ দায়িত্বে পানি, ছাতা ও মাস্ক বহনের অনুরোধ করা হয়েছে।
ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে রাজনৈতিক প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল বার্তা ও বাংলাদেশ-ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করতে বলা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
আয়োজকদের ভাষায়, এই কর্মসূচি শুধু ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো প্রতিটি বিবেকবান মানুষের প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম। লাখো মানুষ আজ এক কণ্ঠে উচ্চারণ করবে—“গাজার পাশে আছি, নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি।”