
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ব অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গাজার গুরুত্বপূর্ণ শহর রাফাহ এখন সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে—এমনটাই দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, রাফাহর সঙ্গে গাজার অন্যান্য অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুরো শহরটিকে ঘিরে ফেলেছে তারা।
‘মোরাগ করিডর’ নামে পরিচিত খান ইউনিস ও রাফাহর মধ্যবর্তী একটি কৌশলগত পথ এখন ইসরায়েলের দখলে, যা রাফাহকে গাজার বাকি অঞ্চল থেকে কার্যত আলাদা করে দিয়েছে। এই পথের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের মাধ্যমে রাফাহে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, “রাফাহ এখন আমাদের ঘোষিত নিরাপত্তা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। গাজার জনগণ যদি এখনো যুদ্ধ বন্ধ করে হামাসকে হস্তান্তর না করে ও জিম্মিদের মুক্ত না করে, তাহলে পুরো গাজা উপত্যকায় আমরা অভিযান চালাবো।
তিনি আরও বলেন, “নেটজারিম করিডর নামে আরেকটি করিডর সম্প্রসারণ করা হবে, যার মাধ্যমে গাজা উপত্যকাকে দুইভাগে ভাগ করা হবে।”
এছাড়া তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বের পরিকল্পনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “যেসব গাজাবাসী স্বেচ্ছায় অন্য দেশে চলে যেতে চায়, তাদের সেই সুযোগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজাবাসীদের রাফাহ থেকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই মাসব্যাপী একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়েছিল। তবে মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ইসরায়েল আবারও আক্রমণ জোরদার করে। এর আগেই তারা ফিলাডেলফি করিডর দখল করে নেয় এবং পরে মোরাগ করিডরের মাধ্যমে খান ইউনিস থেকে রাফাহকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, রাফাহর পতন মানেই গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে অস্ত্রের পাশাপাশি লড়াই হবে টিকে থাকার জন্য।