১৬ই এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
পেরেশানি ও দুশ্চিন্তা দূর করতে চান? এই আমল গুলো আপনার হৃদয়ে এনে দেবে প্রশান্তির পরশ
পিএসএলে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে দলকে জেতালেন বাংলার স্পিন টাইগার রিশাদ
হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের হুমকি দিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, ছড়িয়ে পড়েছে নতুন উত্তেজনা
ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল হামাস
টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: ‘রাজনৈতিক হয়রানি’ বলে দাবি
চাকরি বাঁচাতেই কি ভয়ংকর সিন্ডিকেটের কথায় উঠ বস করে কোচ ক্যাবরেরা? অবশেষে থলের বিড়াল বের হলো!
ঋণ দেওয়া টাকার উপর যাকাত আদায় করা কি বাধ্যতামূলক?
ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফানের নেতৃত্বে আনসার ও ভিডিপির ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত
ঈদ কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ইসলাম অবমাননার দায়ে প্রথম আলোকে ক্ষমা চাইতে হবেঃ জামায়াত আমীর

ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল পুরো জাবালিয়া। মুহূর্তেই মাটিতে মিশে গেল এক আবাসিক ভবন। ধুলো, রক্ত আর কান্নার মাঝে যখন সবাই নিথর হয়ে গিয়েছিল, তখন সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে কাঁপতে কাঁপতে বেঁচে ছিলেন এক মা—অন্তঃসত্ত্বা আলা মানুন।

তার চারপাশে কেবল কংক্রিট, রক্ত আর প্রিয়জনদের নিথর দেহ। স্বামী, ছোট্ট কন্যা আর মা—তিনজনই এই এক হামলায় ঝরে গেল। বেঁচে রইলেন শুধু আলা এবং তার গর্ভের শিশু।

স্বেচ্ছাসেবীরা যখন তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করে আনেন, তখন তাঁর চোখে ছিল বিস্ময় আর কান্না—তিনি যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তিনি এখনও বেঁচে আছেন! স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, খবরটা জানানো হলো—”তোমার সবাই চলে গেছে!”

সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আলা মানুনের কণ্ঠ। এরপর হঠাৎ করেই ছুটে এলো বুকফাটা কান্না, যা যেন গোটা গাজার কান্নাকে একসাথে ধ্বনিত করল।

জাবালিয়ার এক চিকিৎসক জানান, মানুনের গোড়ালি ভেঙে গেছে। গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থা এখনও অজানা, কারণ স্ক্যান মেশিন নেই। গাজার একমাত্র কার্যকর স্ক্যানার ছিল আল-আহলি হাসপাতালে, সেটিও ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বোমায়।

গাজার বাতাসে এখন শুধুই মৃত্যু আর মাতৃত্বের আহাজারি।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে শত শত শিশু—যুদ্ধের মাঝেই তারা জীবনের প্রথম নিঃশ্বাস নিচ্ছে, যেখানে দুধ নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও নেই।

একটি প্রশ্ন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়: এই নবজাতকেরা কী অপরাধ করেছিল? কেন একটি গর্ভবতী মাকে তার সন্তানসহ ধ্বংসস্তূপে শুয়ে থাকতে হয়?

এই খবর শুধু একটি অলৌকিক উদ্ধারের গল্প নয়, এটি এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিৎকার।
যেখানে শান্তি নেই, যেখানে প্রতিরোধ নেই—সেখানে কেবল কান্না, ক্ষুধা আর মৃত্যু।

গাজার মাটিতে আজও শুয়ে আছে শত শত এমন “অলা মানুন”, যারা বেঁচে আছে, কিন্তু আর কিছুই নেই তাদের কাছে।

এই অন্ধকারের মধ্যেও, সেই নারীর বেঁচে যাওয়া যেন জীবনের প্রতি এক উদাত্ত চিৎকার—
“আমি এখনো বেঁচে আছি। আর আমার গর্ভে এক নতুন জীবন ধ্বংসের মাঝেও জন্ম নিতে চায়।”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত