২রা জুন, ২০২৫, ৫ই জিলহজ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
জুলাই সনদের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
অ/ভি/শ/প্ত হা/য়/না ই’স’রা’ই’লি ব’র্বর’ হা’মলায় এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৪০০ ফি’লি’স্তিনি নি’হত হয়েছে
দাসের নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকওয়াশ হলো বাংলাদেশ
৯ সন্তান হারানো চিকিৎসকের স্বামীও নিহত, গাজায় শেষ এক পরিবার
সাপকে ভালোবেসে নিলেন হাসপাতালে, সেই সাপের ছোবলে প্রান গেল সাপুড়ে সমির উদ্দিনের
ইমন-তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে ফাইটিং টার্গেট ছুঁড়ে দিল বাংলাদেশ
গত বছর পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বন্যায় ভাসানো ভারতে এবার বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত!
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেই জনগণকে মহা সুসংবাদ দিলেন ড. ইউনূস
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্মানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির নৈশভোজ
নিজ খরচে বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশে কোরবানির পশু পাঠাচ্ছেন ৭৮ বছর বয়সী দুবাই প্রবাসী হুসেইন আহমেদালি!
যুদ্ধ বিরোধী আলোচনার মধ্যেই আবারও গাজায় নৃ’শং’স হামলা চালিয়ে শিশু’সহ ৬০ ফিলিস্তিনিকে হ’ত্যা করলো হিং’স্র হ/য়/না ই’স’রাইল
অবশেষে নিবন্ধন ফিরে পেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
গাজায় হা’মা’সের আল-কু’দস ব্রি’গে’ডসের হামলায় ১০ হা/য়/না ই’সরা’ইলি সেনা হতাহত
লজ্জাজনকভাবে টানা ৪ ম্যাচে হার! আমাদের আরও একটি সুযোগ আছে বলে সমর্থকদের হৃদয়ে আ’গুন ধরিয়ে দিল লিটন দাস
থাইল্যান্ডে ভয়ংকর অপরাধের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক বিড়াল! ঘটনাটি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে‌ ভাইরাল

ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল পুরো জাবালিয়া। মুহূর্তেই মাটিতে মিশে গেল এক আবাসিক ভবন। ধুলো, রক্ত আর কান্নার মাঝে যখন সবাই নিথর হয়ে গিয়েছিল, তখন সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে কাঁপতে কাঁপতে বেঁচে ছিলেন এক মা—অন্তঃসত্ত্বা আলা মানুন।

তার চারপাশে কেবল কংক্রিট, রক্ত আর প্রিয়জনদের নিথর দেহ। স্বামী, ছোট্ট কন্যা আর মা—তিনজনই এই এক হামলায় ঝরে গেল। বেঁচে রইলেন শুধু আলা এবং তার গর্ভের শিশু।

স্বেচ্ছাসেবীরা যখন তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করে আনেন, তখন তাঁর চোখে ছিল বিস্ময় আর কান্না—তিনি যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তিনি এখনও বেঁচে আছেন! স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, খবরটা জানানো হলো—”তোমার সবাই চলে গেছে!”

সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আলা মানুনের কণ্ঠ। এরপর হঠাৎ করেই ছুটে এলো বুকফাটা কান্না, যা যেন গোটা গাজার কান্নাকে একসাথে ধ্বনিত করল।

জাবালিয়ার এক চিকিৎসক জানান, মানুনের গোড়ালি ভেঙে গেছে। গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থা এখনও অজানা, কারণ স্ক্যান মেশিন নেই। গাজার একমাত্র কার্যকর স্ক্যানার ছিল আল-আহলি হাসপাতালে, সেটিও ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বোমায়।

গাজার বাতাসে এখন শুধুই মৃত্যু আর মাতৃত্বের আহাজারি।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে শত শত শিশু—যুদ্ধের মাঝেই তারা জীবনের প্রথম নিঃশ্বাস নিচ্ছে, যেখানে দুধ নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও নেই।

একটি প্রশ্ন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়: এই নবজাতকেরা কী অপরাধ করেছিল? কেন একটি গর্ভবতী মাকে তার সন্তানসহ ধ্বংসস্তূপে শুয়ে থাকতে হয়?

এই খবর শুধু একটি অলৌকিক উদ্ধারের গল্প নয়, এটি এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিৎকার।
যেখানে শান্তি নেই, যেখানে প্রতিরোধ নেই—সেখানে কেবল কান্না, ক্ষুধা আর মৃত্যু।

গাজার মাটিতে আজও শুয়ে আছে শত শত এমন “অলা মানুন”, যারা বেঁচে আছে, কিন্তু আর কিছুই নেই তাদের কাছে।

এই অন্ধকারের মধ্যেও, সেই নারীর বেঁচে যাওয়া যেন জীবনের প্রতি এক উদাত্ত চিৎকার—
“আমি এখনো বেঁচে আছি। আর আমার গর্ভে এক নতুন জীবন ধ্বংসের মাঝেও জন্ম নিতে চায়।”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত