
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে—অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত—বাংলাদেশ সরকার বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ মোট ৩২১ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে। এই পরিমাণ গত অর্থবছরের পুরো বছরের প্রায় সমান, যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পুরো বছরে পরিশোধ হয়েছিল ৩৩৭ কোটি ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ERD) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশে এসেছে ৪৮১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক ঋণ। কিন্তু এর বিপরীতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ, অর্থাৎ ৩২১ কোটি ডলার চলে গেছে ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধে।
এর মধ্যে আসল পরিশোধ হয়েছে ২০১ কোটি ডলার
এবং সুদ পরিশোধ হয়েছে ১২০ কোটি ডলার
এক বছরে পরিশোধ বেড়েছে ৬৪ কোটি ডলার
গত বছরের তুলনায় এবারের প্রথম ৯ মাসেই ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই ঊর্ধ্বগতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিদেশি ঋণের শর্ত, সুদের হার ও মেয়াদ এখন আগের চেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, যে হারে বিদেশি ঋণ গ্রহণ করা হচ্ছে, তার অনুপাতে যদি রিটার্ন বা উৎপাদনশীলতা না বাড়ে, তবে ভবিষ্যতে এই ঋণ বোঝা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ থাকলে এই পরিশোধ বড় সংকটে ফেলতে পারে অর্থনীতিকে।
সংক্ষেপে: বাংলাদেশ সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে—নতুন ঋণ আনার পাশাপাশি পুরোনো ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ সামলানো। ভবিষ্যতের জন্য এটাই এক বড় সতর্ক সংকেত।