
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। প্রতিদিনই চলছে গোলাগুলি, সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কাও ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১০ দিনের জন্য সব মাদরাসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
প্রথমে গরম ও তাপপ্রবাহের কারণ দেখানো হলেও পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক দপ্তরের এক কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেন—ভারতের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। তার ভাষায়, যেকোনো সময় ভারতের সেনাবাহিনী ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে, তাই শিশুদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা।
জানা গেছে, আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তান মিলিয়ে মোট ৪৪৫টি মাদরাসায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর আটারি সীমান্ত বন্ধ, ভিসা বাতিল এবং সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেয় দিল্লি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত, আকাশসীমা নিষিদ্ধ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে পাকিস্তান।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, “পানির অধিকার রক্ষায় যেকোনো মূল্যে লড়বে পাকিস্তান।” আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে সীমান্তে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত দুই দেশের উত্তেজনা যদি এখনই না থামে, তাহলে তা গোটা অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।