
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::মধ্যপ্রাচ্যে আবারও অস্থিরতা বাড়িয়েছে ইসরায়েলের নতুন করে চালানো বিমান হামলা। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের অনুমোদনে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও আশপাশের অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এসব হামলার মূল লক্ষ্য ছিল সামরিক স্থাপনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামো।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সূত্রগুলো জানায়, হামলাগুলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রাসাদের খুব কাছাকাছি এলাকাতেও হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়, আর তার পরপরই নতুন হামলায় আকাশ কেঁপে ওঠে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা একটি সামরিক ঘাঁটি এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের ইনস্টলেশনে আঘাত হেনেছে। তবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আল জাজিরার একজন প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ইসরায়েল বরাবরের মতো এবারও এমন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে যেখানে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী অবস্থান করে। তাদের লক্ষ্য—সীমান্তে সিরিয়ার সামরিক শক্তি কমিয়ে আনা এবং সম্ভাব্য হুমকি প্রতিহত করা।
সম্প্রতি ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, সিরিয়া সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ অভিযোগের জেরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছায়। শুক্রবার ভোরেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আশপাশে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
নেতানিয়াহু ও কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, “দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি হুমকি কিংবা সিরিয়ার বাহিনীর সীমান্তবর্তী মোতায়েন, কোনোটাই ইসরায়েল মেনে নেবে না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দ্রুজ যোদ্ধাদের সঙ্গে সরকারপন্থী বাহিনীর সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক টানাপড়েন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
আপডেটেড খবরের জন্য চোখ রাখুন Our Times News-এ।